মো. সুজন মোল্লা, বানারীপাড়া প্রতিনিধি ॥ আইন আছে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহা সড়কে কোন প্রকার ট্রলি, টমটম, নসিমন, বটবটি ও বৌ-গাড়ি বা ইজিবাইক চলাচল করতে পারবেনা। এগুলো চলাচল করলে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর ভাবে তা প্রতিহত করবে। তবে এখানে চলছে তার উল্টো। প্রতিদিনই প্রশাসনের সামনেই অবৈধ এই গাড়ি গুলো চলাচল করছে। আর তএই গাড়িগুলো যারা চালাচ্ছেন তাদের কোন প্রকারই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই বলেও জানাগেছে। নেই কোন প্রশিক্ষণও। আবার কখনও কখনও দেখা যাচ্ছে ১২/১৪ বছরের কিশোররা এই গাড়ি গুলোকে ড্রাইভ করছেন। খোদ বানারীপাড়া পৌর শহরের মধ্যেই দিনের আলোতে বীরদর্পে এই অবৈধ গাড়িগুলো চলাচল করছে। তবে কি ভাবে আইনে অবৈধ থাকা গাড়িগুলো দিনেরপর দিন চলছে এ প্রশ্ন সচেতন মহলের। এমনি এক অবৈধ গাড়ি যার নাম ট্রলি (এই গাড়ি গুলোকে আবার কেউ কেউ মরণ গাড়ি নামেও ডাকে) বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা ও ঝালকাঠির সীমান্ত এলাকা বেরমহল নামক স্থানে বরিশাল-বানারীপাড়া ভায়া স্বরূপকাঠি সড়কের ওপরে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টার সময় মর্মান্তিক এক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারান পিতা মো. সুমন হাওলাদার (৪০) ও তার ছোট ছেলে মো. হাসিফ হাওলাদার। আশংকা জনক আহতবস্থায় বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন সুমনের স্ত্রী ও বড় ছেলে নিশাত (১১)। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে পিতা-মাতার সাথে দুপুরের খাবার খেয়ে মোটরসাইকেল যোগে উজিরপুর উপজেলার ডাবেরকুল গ্রামের নানা বাড়িতে যাচ্ছিল হাসিফ ও নিশাদ। নিয়তি তাদেরকে নানা বাড়িতে যেতে দিলোনা। পিতা ও ছোট ভাই ঘটনাস্থলেই হলো মহাকালের যাত্রী। আর বরিশাল শেবাচিমে অচেতন অবস্থায় ভর্তি থাকা মা ও বড় ভাই নিশাত জানেইনা সুমন ও হাসিফ কোথায়। তবে এ মৃত্যুর দায়ভার কে নেবে। কারা অবৈধ গাড়িগুলোকে সড়কে চলার বৈধতা দিচ্ছে। না কি এমনিতেই চলছে গাড়িগুলো। লোক দেখানো সমবেদনা আর ক্ষয়ক্ষতি দিয়ে কি ফিরিয়ে দিতে পারবে হাসিফ আর তার পিতা সুমনকে। না দিতে পারলে তবে আইনের প্রতি কেন এমন উদাসীনতা। ছন্নছাড়া হয়েগেলো একটি সুখের সংসার। আশংকা জনকভাবে ভর্তি থাকা সুমনের স্ত্রী বেঁচে থাকলেও চিরতরের জন্য হারালেন স্বামীকে আর নিশাত হারালো তার মাথার ওপরে থাকা বটবৃক্ষ পিতাকে। আর কতো প্রাণ এবং সংসার ছিন্নবিন্ন হলে থামবে এই পাগলা ঘোড়ার ন্যায় গতি সম্পন্ন অবৈধ গাড়িগুলো।
Leave a Reply